Wednesday, January 25, 2012

বাংলাদেশ কি রেডিমেড গার্মেন্টসের পরবর্তী হটস্পট?

বিশ্ব এখন রেডিমেড গার্মেন্টসের জন্য একটি জনপ্রিয় হটস্পট খুঁজছে। কাঁচামাল এবং শ্রমমূল্য বৃদ্ধি এবং চীনের সামগ্রিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের কারণে গত দুই দশকের পোশাক শিল্পের যে বিচ্ছুরণ তা সমাপ্ত হতে চলেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি প্রস্তুত, পোশাক শিল্পের পরবর্তী হটস্পট হতে? ইউরোপ ও মার্কিন প্রধান প্রধান পোশাক আমদানিকারক কোম্পানিগুলির সাথে আলোচনা করে, কনসালটেন্সি ফার্ম, মেক কিনসে এক গবেষণা পত্রে দেখিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি বর্তমান ২০% থেকে ৩০% এ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। অপর দিকে মধ্যম সারির পোশাক আমদানিকারকগণ বর্তমান ১৩% থেকে বৃদ্ধি করে ২৫% পর্যন্ত তাদের আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) ৭-৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০ সালে ৩৬-৪২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

Tuesday, January 24, 2012

ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র--এক অস্থির সম্পর্ক

ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভূরাজনীতিক অস্থিরতা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সরূপ। ৩২ বছর বয়সী মোস্তফা আহমাদি রোশন ছিল একজন পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের রাজধানী তেহরানে, একজন গুপ্তঘাতক তার গাড়ীতে ম্যাগনেটিক বিস্ফোরক সংযুক্ত করে দেয়। এই ম্যাগনেটিক বিস্ফোরকটি বিস্ফোরিত হলে, আহমাদি রোশন ও তার গাড়ির ড্রাইভার, দুই জনই নিহত হন। একটা সভ্য সমাজে, একজন বিজ্ঞানী বা একজন সাধারণ মানুষেরও জীবন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে। অসংখ্য আন্তর্জাতিক নিয়ম ও কনভেনশন আছে, যাতে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন, সশস্ত্র সংঘাত থেকে নিরাপদ রাখে। যুদ্ধের ক্ষেত্রেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং পরি-কাঠামো ও অবকাঠামো ধ্বংস করা নিষেধ। এবং এই ধরনের কাজ, অপরাধমূলক কাজ হিসাবে গণ্য হয়। বেসামরিক ব্যক্তিকে আক্রমণ সন্ত্রাসী কাজ হিসাবে গণ্য হয়। রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে, বেসামরিক ব্যক্তিকে গুপ্তঘাতক দিয়ে হত্যা করানো, কুৎসিত ধরনের একটি সন্ত্রাস। যদিও আহমাদি রোশনের হত্যাকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায় নাই, তবুও ইরান সরকার দ্রুতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে। ইসরায়িলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর এজেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।

Monday, January 23, 2012

২০১২ সালে এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে।

২০১২ সালে এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, পর্যটন আগমন ২০০০ সালে ৬৭৪ মিলিয়ন থেকে ২০১০ সালে ৯৩৯ মিলিয়নে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘ কিছুদিন আগে বিশ্বের সাত বিলিয়নতম শিশুর জন্ম উদযাপন করেছে। এখন জাতিসংঘ আশা করছে এই বছরেই বিশ্বের এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে সম্ভবত, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকা, অথবা এশিয়ায়।

দুর্নীতি দমন বিতর্কে ইন্ডিয়া বিভক্ত

সমগ্র ইন্ডিয়াতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্না হাজারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে, কিন্তু বর্তমানে এই আন্দোলনের গতি কি শ্লথ হয়ে আসছে? দুর্নীতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ইন্ডিয়ান রাস্তায় বিক্ষোভ করার ছয় মাস পর, ইন্ডিয়ান সরকার দুর্নীতি দমনের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্না হাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। দুর্নীতির বিরুদ্ধ তার শক্ত অবস্থান, তাকে জাতিয় বীরের মর্যাদা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। এবং তার এই অসুস্থতার কারণে তার দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলছে। শাসক শ্রেণির প্রতি ইন্ডিয়ান জনগণের হতাশা ও ক্ষোভ, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ইন্ডিয়ার সমাজে দুর্নীতি নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্তু কিছু উচ্চ পদস্থ রাজনৈতিকের এবং কর্মকর্তার ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ, ইন্ডিয়ান জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। কিছু বিশ্লেষকের মতে দুর্নীতি, ইন্ডিয়ার উন্নয়নের প্রধান বাধা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ইন্ডিয়া একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ। হংকং ভিত্তিক সংস্থা, পলিটিকাল এন্ড ইকনমিক রিস্ক কনসালটেন্সি এর গবেষণা মতে ইন্ডিয়ার আমলাতন্ত্র এশিয়ার মধ্যে সবচাইতে খারাপ।

Sunday, January 22, 2012

SOPA (Stop Online Piracy Act) স্বাধীনতা না ব্যবসা?

প্রস্তাবিত মার্কিন এন্টি-পাইরেসি এক্ট, বিশ্ব ব্যাপী আইনি বিতর্কের ঝড় তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই আইন ইন্টারনেট ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে কিনা। হাজার হাজার ওয়েবসাইট, মার্কিনীদের প্রস্তাবিত এন্টি-পাইরেসি আইনটির বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতিবাদ করেছে। প্রস্তাবিত আইনটির সমর্থকরা বলছেন, পাইরেসি বন্ধ করতে এবং কপিরাইটের লঙ্ঘন রোধ করতে এই আইনের প্রয়োজন। অনুরূপ আরেকটি বিল যার নাম PIPA (Protect Intellectual Property Act) মার্কিন সিনেটে বিবেচনার জন্য আছে। কপিরাইটকৃত বিষয় বস্তু অবৈধ ভাবে ইন্টারনেট থেকে ডাউন-লোড করা অথবা বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকারকে লঙ্ঘন করে এমন কার্যকলাপকে বন্ধ করার উদ্দেশে, আইন দুইটির প্রস্তাব করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই আইন দুইটির বিরোধীদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রস্তাবিত আইন দুইটি বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই করা হচ্ছে। ৭ হাজারেরও বেশী ইন্টারনেট সাইট গত বুধবার গণ-প্রতিবাদের অংশ হিসাবে সাইটগুলিকে বন্ধ রাখায়, বিশ্ব ব্যাপী লক্ষ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অসুবিধার সম্মুখীন হন।

Friday, January 20, 2012

নেতা-বিহীন আন্তর্জাতিক প্রশাসন

বিশ্ব অর্থনীতি এক নতুন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন বিপুল পরিমাণ ঋণ-ভার এবং নিম্নগতির অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে আবদ্ধ হয়ে গেছে --যার ফলে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবেলা করতেই তারা ব্যস্ত, আন্তর্জাতিক অর্থনীতির দিকে তাকানোর সময় তাদের নাই। এই ধরনের প্রবণতার কারণে চীন এবং ইন্ডিয়া তাদের সার্বভৌমত্বকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অন্যের হস্তক্ষেপ মুক্ত নিজেদের শাসন বাজয় রাখতে চাচ্ছে। এর ফলে দেশ দুইটি আন্তর্জাতিক রীতিনীতিকে তোয়াক্কা করছে না। এর ফলে আরেকটি প্রবণতা হল, বহুজাতিক সংস্থার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে, যা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর মার্কিন সরকার বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছিল। ফলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব এবং সহযোগিতার নিয়ম নীতি সংশোধন করতে হবে। কিন্তু G20, WTO (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) এবং অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থার কার্যক্রম নতুন মাত্রায় বহাল রাখতে হবে। নতুন নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

Thursday, January 19, 2012

SOPA (Stop Online Piracy Act)

SOPA (Stop Online Piracy Act) এবং PIPA, (Protect Intellectual Property Act) এখন গুরুত্বপূর্ণ একটা আলোচ্য বিষয়। এই দুইটি আইন বাস্তবায়ন না করার দাবীতে ধর্মঘট করার পরই ব্যাপারটার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এবং সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারে সচেতন হয়। গুগল ইতোমধ্যেই ৭ মিলিয়নের বেশী সাক্ষর সংগ্রহ করেছে, বিলটির বিরুদ্ধে অনলাইনে পিটিশন করার জন্য। তবে সাধারণ মানুষ এখনও এই আইনের সুফল-কুফল সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা। আবার অনেকের ধারণা এটা নিতান্তই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে অন্যদের তেমন লাভ-ক্ষতির কিছু নাই। এই আইনের বিল গত বছর ২৬ অক্টোবর মার্কিন সিনেটে উত্থাপন করা হয়। যদিও এটা একটা সাদা-সিদা আইন। আসলে এই আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে সুন্দর ভাবে পুরো ইন্টারনেট বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই আইনটি পাশ হলে বিনামূল্যের উন্মুক্ত ইন্টারনেট সেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন ইন্টারনেটের প্রতিটা সেবা গ্রহণ করার জন্যই ফি দিতে হবে। আবার একই সাথে ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যে সমস্ত ডোমেইনের এক্সটেনশন .com, .org, .net., . info এই গুলি এই আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইট বলে বিবেচিত হবে। আর ইন্টারনেট বিশ্বে এইগুলিই প্রধান ডোমেইন এক্সটেনশন। এই আইন অনুসারে আপনি নিজের তোলা ছবি বা নিজের তৈরি করা ভিডিও বা অডিও ছাড়র আর কিছুই শেয়ার করতে পারবেন না। এতে ফ্রি ডাউন-লোডের সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। যা কিছুই ডাউন-লোড করবেন, তার জন্য ফি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল, অভিযোগের ভিত্তিতে যে কোন সাইট বন্ধ করে দিতে পারবেন।